এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করেন বহু অভিভাবক সহ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। নাম না প্রকাশের শর্তে বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরা গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান, উপজেলার মধ্যে একমাত্র সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজে। বর্তমান সময়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বর্তমান শিক্ষার্থীরা সহ আগামী প্রজন্ম। এদিকে করোনার কঠিন দুঃসময়ে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ ঘোষণা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজর বহু পদ শূন্য রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকায় সমস্যার অন্ত নেই বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের। সরকারী কলেজের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ হল অধ্যক্ষ। অথচ বহু দিন ধরে মহা গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য। অথচ গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরনের কোন চিন্তা ভাবনা নেই জেলা কিংবা বিভাগের শিক্ষা বোর্ডের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দারুণ অবহেলার স্বীকার সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজ।অবশ্য এব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিডিয়াকে বলেন, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে আগামী মার্চ এপ্রিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নজর রয়েছে শূন্য পদ পূরনের জন্য।এদিকে কলেজের প্রধান অফিস সহকারী পদ শূন্য সহ এম এল এস এস পদ শূন্য রয়েছে। নৈশ প্রহরীর পদে শুধু একজন দিয়ে দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এদিকে কলেজের ভিতরে অফিস কক্ষ সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে এক ধরনের হ য র র ব হওয়ার উপক্রম।পাশাপাশি কোমল মতি ছাত্র ছাত্রীরা দারুণ ভাবে জিম্মি হয়ে পড়েছে কলেজে শিক্ষক সংকট হওয়ার কারনে।প্রতিবাদী কলেজ ছাত্রী তামান্না ইসলাম সহ সাথী আক্তার, রথিকা মিস্ত্রি, অপু মন্ডল সহ মোঃ রাকিবুল ইসলাম, জুবায়ের, শাকিলরা অকপটে বলেন, আমরা এক ধরনের জিম্মি শিক্ষক সংকট হওয়ার কারণে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে ও ইংরেজি বিভাগে পরিপূর্ণ শিক্ষক নেই। রসায়ন বিভাগ, সমাজ কল্যান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, গনিত বিভাগ, জীব বিজ্ঞান বিভাগেও কোন শিক্ষক নেই। তবে নাম মাত্র ইসলামি শিক্ষায় কোঠা ভিত্তিক দুই জন শিক্ষক আছেন ভুলে। অবশ্য পদার্থ বিভাগের মধ্যে নাম মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছে।করোনার কঠিন দুঃসময় ছাড়াও বর্তমান সময়ে শিক্ষক সংকট চরমে থাকায় প্রতিষ্ঠাননের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। তবে কোনমতে উপাধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হায়দার আলী অকপটে স্বীকার করেন কলেেেজ শিক্ষক সংকটের কথা। বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে নিঃসন্দেহে। অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সকল বিষয়ে অবগত করেন জেলা, বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
Leave a Reply